উপজেলার পটভূমি: নামকরণ- মোগল আমলে কুলিয়ারচর- এ কুলি খাঁ নামে এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি ছিলেন। তার সময়ে মেঘনা ও কালী নদীতে জরদস্যুদের উৎপাত ছিল। প্রায়ই জলদস্যুরা ছোট বড় নৌ-যান গুলোর উপর হামলা করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যেত। কুলিখাঁর নেতৃত্বে ঐ সব জলদস্যুদের পতন ঘটে এবং তার নামানুসারে কুলিখাঁর চর পরবর্তীতে কুলিয়ারচর নামে পরিচিতি লাভ করে। কুলিয়ারচর উপজেলার উত্তরে বাজিতপুর, দক্ষিণে ভৈরব, পূর্বে ভৈরবপুরের কিছু অংশ ও সরাইল উপজেলা, পশ্চিমে বেলাবো কুলিয়ারচর উপজেলা পূর্বে বাজিতপুর উপজেলার অন্তর্গত ছিল। ১৯২২ সালে কুলিয়ারচর পৃথক থানা হিসেবে পরিচিতি পেলেও ১৯২৩ সালে পৃথক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এ এলাকা ভাগলপুরের বিখ্যাত দেওয়ান পরিবারের জমিদারের অংশ ছিল। ১৯৮৩ সালের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় কুলিয়ারচর মানোন্নীত হয়ে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। কুলিয়ারচর উপজেলাটি মেঘনা ও কালী নদীর তীরবর্তী পলি বিধৌত উর্বর ভূমিতে অবস্থিত। এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ধান, গম, কচু, কলা, উৎপন্ন হয়। সব্জী আবাদের জন্য এ এলাকার ভূমি খুবই উপযোগী। ধান উৎপাদন সন্তোষজনক আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ধান অন্যত্র সরবরাহ করা হয়। এ অঞ্চলের মানুষের অন্যতম জীবিকা মাছ চাষ। এখানে মাছের একটি বৃহৎআড়ৎআছে এবং অত্যাধুনিক মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্প রয়েছে। যেখান থেকে মাছ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানী করা হয়ে থাকে। মৎস্য ব্যবসা প্রসার এই উপজেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় দিবস, ১লা বৈশাখ, পূজাপার্বণে আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। উপজেলাটির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দিক থেকে এ অঞ্চলের মানুষ পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS